বছরের একটা দিন নয়, “মা দিবস” হোক বছরের প্রতিটা দিন।
আন্তর্জাতিক “মা দিবসে” বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মায়েদের প্রতি আমার পক্ষ থেকে রইলো অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।
মা একটি পবিত্র শব্দ, মা শব্দটি বিস্ময়কর ও আলোকদীপ্ত নাম।সুখে ,দুঃখে, প্রতিটি মুহূর্তে স্নেহ মায়া, ভালোবাসায় যিনি জড়িয়ে রাখেন, তিনিই হচ্ছেন মা।
মা এতো মিষ্টি একটি ডাক, একটি অনুভব, এতো দৃঢ় একটি বন্ধন, এতো বড় একটি আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত, যা আসলে বাতাসের অক্সিজেনের মতো।দেখা না গেলেও তাঁর উপস্থিতি অনুভব করা যায় । আমার মা আমার অক্সিজেন, আমার শক্তি,আমার ভলোবাসা,আমার রাগ,আমার অভিমান, আমার ডিকশনারি, আমার সুরক্ষার জন্য কাঁটাতারের বেড়া, আমার বেলীফুলের বাগান, আমার ঘড়ি,আমার ক্যালেন্ডার,আমার দাঁড়িপাল্লা এবং অনুভবের বিশ্বকোষ। পৃথিবীতে আসার দরজা মা। মা বাবার জন্যই আমরা এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
কোন সংজ্ঞা বা উপমায় মায়ের ভালোবাসার পরিধি, আকার, আয়তন ও গভীরতাকে ছুঁতে পারেনি।
পৃথিবীটা অনেক কঠিন, সবাই সবাইকে ছেড়ে চলে যায়,সবাই সবাইকে ভুলে যায়,শুধু একজন ছেড়ে যায় না, ভুলেও যায় না। সারা জীবন ভরসার বাতিঘর হয়ে পাশে থাকেন। তিনিই হচ্ছেন আমার, আপনার প্রিয় মা।
পৃথিবীতে আমাদের হাজার হাজার বন্ধু -বান্ধব,
আত্নীয় -স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী থাকবে, কিন্তু দিনশেষে আমরা একজন মানুষকেই মমতা, ভালোবাসা আর নির্ভরতার জায়গা সাহসী প্রতীক হিসেবে খুঁজে পাই। শত আঘাত দেওয়ার পরেও তিনি শুধু আমাদের ভবিষ্যতে নিয়েই ভাবেন, তার নামই “মা”।
হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (সা) আমার সর্বোত্তম ব্যবহারের হকদার কে? রাসূল (সা) বললেন, তোমার মা।লোকটি আবার বলল,অতঃপর কে? রাসূল সা বললেন, তোমার মা।লোকটি আবার বলল, অতঃপর কে? রাসূল সা বললেন, তোমার মা।লোকটি আবার বলল, অতঃপর কে? রাসূল সা বললেন, তোমার পিতা। (বুখারী-৫৫১৪)
আসুন- মায়েদের সম্মান ও অধিকার কোন দিবসে বেঁধে না রেখে একটু সচেতন হই। আমি আপনাদের কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া চাই, আল্লাহ যে সুস্হতা ও নেক হায়াত দান করে,আমিন। ভালো থাকুন এই পৃথিবীর সকল মা।
চিরজীবী হোক পৃথিবীর প্রতিটি মায়ের ভালোবাসা। মা দিবসে এটাই একান্ত কামনা।
লেখক, মো.ফয়েজ উল্লাহ্
Leave a Reply